জনপ্রশাসন পরীক্ষার এই বিষয়গুলি না জানলে বড় ক্ষতি!

webmaster

공공관리사 필기시험에서 자주 출제되는 주제 - Here are three image generation prompts in English, designed to meet your specified guidelines and d...

জনপ্রশাসন বিষয়টি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাই এর গভীরে প্রবেশ করাটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা হতে পারে! আমি নিজে যখন জনপ্রশাসন নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করি, তখন মনে হতো যেন সমাজের অদৃশ্য কলকব্জাগুলো একে একে উন্মোচিত হচ্ছে। আজকাল তো ডিজিটাল গভর্নেন্স, সুশাসন আর জবাবদিহিতার মতো বিষয়গুলো শুধু পরীক্ষার বইয়েই নয়, আমাদের চারপাশেও দারুণভাবে আলোচিত হচ্ছে। সরকারি সেবায় স্বচ্ছতা আনা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়া এবং নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার নিশ্চিত করা – এসবই জনপ্রশাসনের আধুনিক লক্ষ্যের অংশ। আমার মনে হয়, এই বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারলে শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো করাই নয়, বরং একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেও আমরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারবো।চলুন, নিচের অংশে জনপ্রশাসন পরীক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিই!

জনপ্রশাসন বিষয়টি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাই এর গভীরে প্রবেশ করাটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা হতে পারে! আমি নিজে যখন জনপ্রশাসন নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করি, তখন মনে হতো যেন সমাজের অদৃশ্য কলকব্জাগুলো একে একে উন্মোচন হচ্ছে। আজকাল তো ডিজিটাল গভর্নেন্স, সুশাসন আর জবাবদিহিতার মতো বিষয়গুলো শুধু পরীক্ষার বইয়েই নয়, আমাদের চারপাশেও দারুণভাবে আলোচিত হচ্ছে। সরকারি সেবায় স্বচ্ছতা আনা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়া এবং নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার নিশ্চিত করা – এসবই জনপ্রশাসনের আধুনিক লক্ষ্যের অংশ। আমার মনে হয়, এই বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারলে শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো করাই নয়, বরং একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেও আমরা নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারবো।চলুন, নিচের অংশে জনপ্রশাসন পরীক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিই!

প্রশাসনে প্রযুক্তির জাদু: ডিজিটাল সেবা কতটা সহজ করেছে আমাদের জীবন?

공공관리사 필기시험에서 자주 출제되는 주제 - Here are three image generation prompts in English, designed to meet your specified guidelines and d...

যখন প্রথমবার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট আবেদন করতে গেলাম, সত্যি বলতে একটু ভয়ই করছিল। ভাবছিলাম, কতটা জটিল হবে ব্যাপারটা! কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল অনেক সহজ আর দ্রুত। ঘরে বসেই কয়েকটা ক্লিকেই কাজটা সেরে ফেললাম। আমার মনে আছে, আগে এসব কাজের জন্য দিনের পর দিন সরকারি অফিসে ধর্ণা দিতে হতো, আর লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। সময়ের অপচয় তো হতোই, সাথে মানসিক চাপও কম ছিল না। এখন ই-গভর্নেন্স বা ডিজিটাল প্রশাসনের কল্যাণে সেই দিনগুলো ইতিহাস। মোবাইল অ্যাপ, অনলাইন পোর্টাল আর ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সরকারি সেবাগুলো যেন আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এর ফলে শুধু যে আমাদের সময় বাঁচছে তাই নয়, বরং দাপ্তরিক কাজকর্মে স্বচ্ছতাও অনেক বেড়েছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, প্রযুক্তির এই ব্যবহার সরকারি সেবাকে আরও বেশি জনমুখী করেছে। এর মাধ্যমে দুর্নীতির সুযোগও অনেকটাই কমে এসেছে, যা একজন নাগরিক হিসেবে আমাকে ভীষণ স্বস্তি দেয়। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে প্রশাসন আরও বেশি শক্তিশালী এবং জনগণের আস্থার কেন্দ্র হয়ে উঠবে, এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই।

ই-সেবার সুবিধা: সময় বাঁচছে, খরচ কমছে

আমার এক প্রতিবেশী, যিনি গ্রামের একজন বয়স্ক মানুষ, তিনি তো মোবাইলেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে ফেললেন! ব্যাপারটা দেখে আমি নিজেও অবাক হয়েছিলাম। ভাবুন তো, একসময় এই ছোট্ট কাজটার জন্য তাকে কতদূর হেঁটে উপজেলা ভূমি অফিসে যেতে হতো!

এখন ঘরে বসেই সব সম্ভব। ই-সেবার মূল আকর্ষণই হলো এর সহজলভ্যতা। যেকোনো জায়গা থেকে, যেকোনো সময় সেবা নেওয়ার সুযোগ থাকায় মানুষের ভোগান্তি কমেছে কয়েকগুণ। এতে একদিকে যেমন নাগরিকের মূল্যবান সময় সাশ্রয় হচ্ছে, তেমনি অফিসের কাজও দ্রুত এবং সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে। সরকারেরও প্রশাসনিক খরচ কমে আসছে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের পথ

যদিও ডিজিটাল সেবা অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে, তবে এর কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। ইন্টারনেট সংযোগের অভাব, ডিজিটাল সাক্ষরতার অভাব বা সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি – এসবই বড় সমস্যা। বিশেষ করে গ্রামের দিকে অনেকেই এখনও স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহারে ততটা অভ্যস্ত নন। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা, প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট অবকাঠামো উন্নত করা এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমার মতে, এই বিষয়গুলোতে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন আরও দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।

সুশাসনের চাবিকাঠি: নাগরিক হিসেবে আমাদের ভূমিকা ও প্রত্যাশা

সুশাসন মানে শুধু আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং জনগণের অংশগ্রহণ। আমি যখন সুশাসন নিয়ে ভাবি, তখন মনে হয়, এটা যেন একটা গোলকের মতো, যেখানে সমাজের প্রতিটি অংশ একে অপরের সাথে সংযুক্ত। যদি কোনো একটি অংশ দুর্বল হয়, তবে পুরো ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়তে পারে। ব্যক্তিগতভাবে, আমি বিশ্বাস করি, সুশাসন তখনই সম্ভব যখন নাগরিকরা তাদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হন এবং সক্রিয়ভাবে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। ধরুন, আপনার এলাকার রাস্তা খারাপ, আপনি কি শুধু অভিযোগ করে বসে থাকবেন, নাকি জনপ্রতিনিধিকে গিয়ে সরাসরি সমস্যার কথা জানাবেন?

দ্বিতীয় পথটা বেছে নেওয়াটাই আসলে সুশাসনের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। আমাদের দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাটা একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু তারপরও আমি আশাবাদী, কারণ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে এবং তারা পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। প্রতিটি নাগরিক যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দাবি জানায়, তাহলে একটি শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

Advertisement

জনগণের অংশগ্রহণ: শুধু ভোট দেওয়া নয়

আমার এক বন্ধু একবার বলেছিল, “ভোট তো দিলাম, এখন সব দায়িত্ব সরকারের।” আমি তার এই মন্তব্যের সাথে একমত হতে পারিনি। কারণ, জনগণের অংশগ্রহণ মানে শুধু নির্বাচনে ভোট দেওয়া নয়, বরং নীতি নির্ধারণে, সরকারি কর্মকাণ্ডের পর্যবেক্ষণে এবং স্থানীয় সমস্যা সমাধানে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকা। যখন আমি কোনো সরকারি প্রকল্পের বিষয়ে গণশুনানিতে অংশ নিই, তখন মনে হয় আমার কথাগুলো শোনা হচ্ছে, আমার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটা একটা দারুণ অনুভূতি। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণ যত বাড়বে, তত বেশি জনমুখী এবং কার্যকর নীতি প্রণয়ন করা সম্ভব হবে। প্রতিটি নাগরিক যদি তার নিজের এলাকাকে উন্নত করার জন্য এগিয়ে আসে, তাহলে সুশাসনের পথ অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়।

জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা: আস্থার ভিত্তি

জবাবদিহিতা আর স্বচ্ছতা ছাড়া কোনো শাসন ব্যবস্থাই আস্থার সম্পর্ক তৈরি করতে পারে না। আমি মনে করি, সরকার এবং সরকারি কর্মকর্তাদের অবশ্যই তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং কাজের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। যখন আমি জানতে পারি যে, আমার দেওয়া করের টাকা কোথায় এবং কীভাবে খরচ হচ্ছে, তখন সরকারের প্রতি আমার বিশ্বাস আরও বাড়ে। তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে আমরা এখন অনেক তথ্য সহজে জানতে পারছি, যা আগে কল্পনাই করা যেত না। এটা সত্যিই একটা বিশাল অগ্রগতি। কিন্তু শুধু আইন থাকলেই হবে না, এর সঠিক বাস্তবায়নও জরুরি। প্রতিটি অফিসে যদি তথ্য প্রদানের একটি সহজ ব্যবস্থা থাকে এবং কর্মকর্তারা যদি স্বেচ্ছায় তথ্য প্রকাশে আগ্রহী হন, তবেই প্রকৃত স্বচ্ছতা আসবে।

দুর্নীতি দমন: শুধু আইন নয়, মন বদলানোও জরুরি

দুর্নীতি! নামটা শুনলেই কেমন একটা রাগ আর হতাশা কাজ করে। আমার মনে হয়, আমাদের সমাজে এটা একটা ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে, যা ভেতর থেকে সবকিছুকে নষ্ট করে দিচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক মানুষকে দেখেছি, যারা দুর্নীতির শিকার হয়েছেন, এবং তাদের ভোগান্তি আমাকে ভীষণভাবে ছুঁয়ে গেছে। মনে হয়, শুধু কঠোর আইন প্রণয়ন করলেই হবে না, মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনাটাও জরুরি। যখন একজন কর্মকর্তা ঘুষ না নিয়ে কাজটা করে দেন, তখন মনে হয় এখনো ভালো মানুষ আছেন। আবার যখন দেখি একজন সাধারণ মানুষও ছোটখাটো সুবিধার জন্য অনৈতিক পথ অবলম্বন করছেন, তখন ভীষণ খারাপ লাগে। আসলে দুর্নীতি শুধু টাকার লেনদেন নয়, এটা একটা মানসিকতা, একটা সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের ছোটবেলা থেকেই সততা আর নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সমাজ – সবারই এখানে ভূমিকা আছে। আমি নিজে যখন কোনো অন্যায় দেখি, চেষ্টা করি প্রতিবাদ করার, যদিও সেটা সবসময় সহজ হয় না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, ছোট ছোট প্রতিবাদের সমষ্টি একদিন বড় পরিবর্তন আনবে।

আইনের প্রয়োগ ও সীমাবদ্ধতা

আমাদের দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক আইন আছে, যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন। কিন্তু প্রায়শই দেখা যায়, এসব আইনের প্রয়োগে নানা ধরনের জটিলতা বা সীমাবদ্ধতা থাকে। অনেক সময় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনের আওতার বাইরে থেকে যান, যা সাধারণ মানুষের মনে হতাশার জন্ম দেয়। আমার মনে হয়, আইনকে সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা জরুরি, সেটা যেই হোক না কেন। আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে এবং দুর্নীতিবাজদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। শুধু তাই নয়, যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করছেন, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধ

আমার মতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হলো সামাজিক প্রতিরোধ। আমরা যদি সবাই মিলে দুর্নীতিকে ‘না’ বলি, যদি সমাজের চোখে দুর্নীতিবাজদের মর্যাদা না থাকে, তাহলেই পরিবর্তন আসবে। গণমাধ্যম এখানে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে, কারণ তারা দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে মানুষকে সচেতন করতে পারে। বিভিন্ন এনজিও এবং সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোও এই বিষয়ে কাজ করছে, যা খুবই প্রশংসনীয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি, যখন কোনো এলাকায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি হয়, তখন সেখানে দুর্নীতি কমে আসে। এই প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ, কিন্তু অসম্ভব নয়।

জনগণের অংশগ্রহণ: সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমাদের কণ্ঠস্বর কতটা শোনা যায়?

আমার মনে আছে, একবার আমাদের এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের বিষয়ে জনমত যাচাই করার জন্য একটি সভা হয়েছিল। আমি সেখানে গিয়েছিলাম এবং আমার মতামত প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। যদিও আমার সব মতামত গৃহীত হয়নি, তবে মনে হয়েছিল যে আমার কথা শোনা হয়েছে, আমার অস্তিত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছিল যে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ কতটা জরুরি। যখন সরকারের কোনো নীতি বা প্রকল্প সরাসরি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, তখন সেই মানুষের মতামত নেওয়াটা খুবই যৌক্তিক। অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন শুধু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকেই শক্তিশালী করে না, বরং এর ফলে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো আরও বেশি বাস্তবসম্মত এবং কার্যকর হয়। আমার মনে হয়, আমাদের দেশে জনগণের অংশগ্রহণকে আরও বেশি উৎসাহিত করা উচিত। এতে শুধু সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে না, বরং প্রকল্প বাস্তবায়নেও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা পাওয়া যাবে। অনেক সময় দেখা যায়, কিছু প্রকল্প জনগণের প্রয়োজনকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে না, যার অন্যতম কারণ হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের অনুপস্থিতি।

নীতি নির্ধারণে জনগণের ভূমিকা

নীতি নির্ধারণ মানে কেবল কয়েকজন বিশেষজ্ঞের কাজ নয়, এর সাথে জনগণের সরাসরি প্রয়োজন ও অভিজ্ঞতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমি যখন কোনো নীতি নিয়ে আলোচনা শুনি, তখন ভাবি, এই নীতিটি কি আসলেই সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে?

উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষা নীতি বা স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়নের সময় যদি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মতামত নেওয়া হয়, তাহলে সেই নীতিগুলো অনেক বেশি কার্যকর হয়। অংশগ্রহণমূলক নীতি নির্ধারণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে যে, গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো সমাজের সকল স্তরের মানুষের চাহিদা পূরণ করছে। এটা শুধুমাত্র ‘উপরে থেকে চাপানো’ সিদ্ধান্ত না হয়ে, ‘নিচে থেকে উঠে আসা’ একটি প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে।

Advertisement

স্থানীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ: ছোট পরিবর্তন, বড় প্রভাব

স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণ আরও বেশি সহজ এবং ফলপ্রসূ হতে পারে। গ্রাম পরিষদ বা ওয়ার্ড সভার মতো প্ল্যাটফর্মগুলো মানুষকে তাদের এলাকার সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে এবং এর সমাধানে সরাসরি অংশ নিতে উৎসাহিত করে। আমি আমার নিজ এলাকার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যখন স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে একটি সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করেন, তখন তার ফলাফল অনেক বেশি টেকসই হয়। ধরুন, এলাকার একটি রাস্তার সমস্যা বা একটি স্কুলের সংস্কার – এসব বিষয়ে স্থানীয়দের মতামত এবং সহযোগিতা ছাড়া সফল হওয়া কঠিন। তাই, এই ধরনের ছোট ছোট অংশগ্রহণগুলোই আসলে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসে।

কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি: আধুনিক প্রশাসনে কেমন হওয়া উচিত প্রশিক্ষণ?

공공관리사 필기시험에서 자주 출제되는 주제 - Prompt 1: Digital Empowerment in Rural Bangladesh**
আধুনিক প্রশাসনের মূল চালিকাশক্তি হলো দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল। আমি যখন কোনো সরকারি অফিসে যাই এবং দেখি একজন কর্মকর্তা খুব দ্রুত ও দক্ষতার সাথে আমার কাজটি করে দিচ্ছেন, তখন মনটা ভালো হয়ে যায়। আর যখন দেখি একজন কর্মকর্তা হয়রানি করছেন বা ঠিকমতো কাজ জানেন না, তখন খুব হতাশ লাগে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, ভালো প্রশিক্ষণ একজন কর্মকর্তার কর্মদক্ষতা অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। আজকাল তো পৃথিবী দ্রুত বদলাচ্ছে, নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও আধুনিক জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সজ্জিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। গতানুগতিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতির চেয়ে এখন প্রয়োজন আরও বেশি বাস্তবসম্মত, কেস-ভিত্তিক এবং প্রযুক্তি-নির্ভর প্রশিক্ষণ। আমার মনে হয়, কর্মকর্তাদের শুধু অফিসের কাজ শেখানো নয়, বরং নেতৃত্ব, নৈতিকতা, এবং জনসেবার মানসিকতা গড়ে তোলার উপরও জোর দেওয়া উচিত। এই ধরনের প্রশিক্ষণই একটি কার্যকর এবং জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলার প্রধান ভিত্তি।

প্রশিক্ষণ পদ্ধতির আধুনিকীকরণ

আগেকার দিনে প্রশিক্ষণের মানে ছিল ক্লাসরুমে বসে লেকচার শোনা আর কিছু বই পড়া। কিন্তু এখন সেই দিন বদলে গেছে। আমি বিশ্বাস করি, আধুনিক প্রশিক্ষণে ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশন, ওয়ার্কশপ, ফিল্ড ভিজিট এবং প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য। যেমন, ডিজিটাল গভর্নেন্সের যুগে একজন কর্মকর্তাকে শুধু কম্পিউটারের ব্যবহার শেখালেই হবে না, বরং ডেটা অ্যানালাইসিস, সাইবার নিরাপত্তা এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সেবা প্রদানের কৌশলও জানতে হবে। এছাড়া, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য ক্রস-ফাংশনাল প্রশিক্ষণও জরুরি। এর ফলে কর্মকর্তারা অন্য দপ্তরের কাজ সম্পর্কেও ধারণা লাভ করেন, যা সামগ্রিকভাবে প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ায়।

নৈতিকতা ও মানবিকতার গুরুত্ব

দক্ষতার পাশাপাশি নৈতিকতা এবং মানবিকতাও একজন আদর্শ প্রশাসনিক কর্মকর্তার জন্য অপরিহার্য। আমার মনে হয়, প্রশিক্ষণে এই বিষয়গুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। একজন কর্মকর্তা যত দক্ষই হন না কেন, যদি তার মধ্যে সততা বা জনসেবার মানসিকতা না থাকে, তবে তার দক্ষতা মূল্যহীন। তাই, নৈতিকতার শিক্ষা, জনগণের প্রতি সহানুভূতি এবং স্বচ্ছতার অনুশীলন – এসবই প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত। কর্মকর্তাদের মধ্যে এই ধরনের মানবিক গুণাবলী গড়ে তোলার মাধ্যমে আমরা একটি সত্যিকার অর্থেই জনবান্ধব প্রশাসন তৈরি করতে পারব।

সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা: জানার অধিকার আর জবাবদিহিতার গুরুত্ব

সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা একটি কার্যকর এবং নির্ভরযোগ্য প্রশাসনের মেরুদণ্ড। আমি যখন কোনো সরকারি সেবা নিতে যাই, তখন চাই যেন পুরো প্রক্রিয়াটা আমার কাছে স্পষ্ট থাকে। কোন ধাপে কী হবে, কত সময় লাগবে, কত টাকা খরচ হবে – এসব যদি আগে থেকেই জানা থাকে, তাহলে অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানি অনেকটাই কমে যায়। আমার মনে হয়, জানার অধিকার (Right to Information) আইনটা আমাদের জন্য একটা দারুণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা যেকোনো সরকারি তথ্য জানতে চাইতে পারি, যা আগে অকল্পনীয় ছিল। এই আইনটি শুধু তথ্যের প্রবেশাধিকার বাড়ায়নি, বরং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের জবাবদিহিতার মানসিকতাও তৈরি করেছে। আমি নিজে একবার একটি সরকারি নথি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম এবং অবাক হয়েছিলাম যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমি তথ্যটি পেয়ে গিয়েছিলাম। এটা আমাকে বুঝিয়েছিল যে, আইনটি আসলে কতটা শক্তিশালী হতে পারে। যখন প্রশাসন তার প্রতিটি কাজ উন্মুক্তভাবে করে, তখন মানুষের আস্থা বাড়ে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমে আসে।

বৈশিষ্ট্য সুবিধা চ্যালেঞ্জ
তথ্যের সহজলভ্যতা জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা তথ্যের অপব্যবহার, নিরাপত্তা ঝুঁকি
প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা দুর্নীতি হ্রাস, প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, আইন প্রয়োগের অভাব
নাগরিক সনদ সেবার মান নিশ্চিতকরণ, নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা বাস্তবায়নে ধীরগতি, সচেতনতার অভাব
Advertisement

নাগরিক সনদ: সেবার মানদণ্ড

অনেক সরকারি অফিসে আজকাল নাগরিক সনদ (Citizen’s Charter) দেখতে পাওয়া যায়। আমি মনে করি, এটা একটা দারুণ উদ্যোগ। এই সনদে লেখা থাকে কোন সেবার জন্য কত সময় লাগবে, কত টাকা লাগবে এবং কোন কর্মকর্তা দায়ী। এর ফলে আমি একজন নাগরিক হিসেবে আমার প্রত্যাশা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাই এবং যদি সেবার মান খারাপ হয়, তাহলে আমি প্রশ্ন করতে পারি। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, যেখানে নাগরিক সনদ কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয়, সেখানে সেবার মান তুলনামূলকভাবে ভালো হয়। এটা কর্মকর্তাদের উপর একটা চাপ সৃষ্টি করে যাতে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। যদিও সব অফিসে এর বাস্তবায়ন এখনও সমানভাবে হয়নি, তবে এটা একটা ভালো শুরু।

অভিযোগ নিষ্পত্তি: প্রতিকারের পথ

স্বচ্ছতা শুধু তথ্য জানালেই হয় না, অনিয়ম বা হয়রানির ক্ষেত্রে অভিযোগ জানানোর এবং তার প্রতিকার পাওয়ার সুযোগও থাকতে হবে। আমি মনে করি, একটি কার্যকর অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য। যখন আমি জানি যে, আমার অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে এবং আমি ন্যায়বিচার পাবো, তখন আমার মধ্যে সরকারের প্রতি বিশ্বাস তৈরি হয়। অনেক সময় দেখা যায়, অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায় না, যা মানুষকে হতাশ করে। তাই, অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়াকে সহজ করা এবং অভিযোগগুলোর দ্রুত ও সুষ্ঠু নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এটি একদিকে যেমন নাগরিকের অধিকার রক্ষা করে, তেমনি অন্যদিকে প্রশাসনের ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে।

প্রশাসনে লিঙ্গ সমতা: অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি কতটা কার্যকর?

আজকাল যখন দেখি নারীরা প্রশাসনে উচ্চ পদে কাজ করছেন, তখন গর্বে বুকটা ভরে ওঠে। আমার মনে হয়, লিঙ্গ সমতা শুধু একটি সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয় নয়, বরং একটি কার্যকর এবং উন্নত প্রশাসনের জন্যও এটি অপরিহার্য। যখন সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠী, অর্থাৎ নারীরা, প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় সমানভাবে অংশ নিতে পারেন, তখন প্রশাসন আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রতিনিধিত্বশীল হয়ে ওঠে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, নারীরা যখন প্রশাসনে আসেন, তখন তারা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং সমাধান নিয়ে আসেন, যা সামগ্রিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মান উন্নত করে। আমাদের দেশে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ধীরে ধীরে বাড়ছে, যা খুবই ইতিবাচক। তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, যেমন কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য বা নারী-বান্ধব পরিবেশের অভাব। এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও বেশি কাজ করা প্রয়োজন। আমার মনে হয়, প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে, কারণ একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ কর্মপরিবেশ সবসময়ই আরও বেশি গতিশীল এবং উদ্ভাবনী হয়।

নারীর ক্ষমতায়ন ও চ্যালেঞ্জ

নারীর ক্ষমতায়ন মানে শুধু তাদের চাকরিতে অন্তর্ভুক্ত করা নয়, বরং তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ানো এবং কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। আমি দেখেছি, অনেক নারী কর্মকর্তা কর্মক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেও নানা ধরনের সামাজিক ও পারিবারিক বাধার সম্মুখীন হন। পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা, কর্মঘণ্টা নিয়ে সমস্যা বা নারী-বান্ধব সুযোগ-সুবিধার অভাব – এসবই তাদের পথচলাকে কঠিন করে তোলে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য শুধু নীতি প্রণয়ন করলেই হবে না, বরং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং নারী কর্মকর্তাদের জন্য আরও বেশি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।

অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশের গুরুত্ব

একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ যেখানে সবাই সমান সম্মান ও সুযোগ পান, তা প্রশাসনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমি মনে করি, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার জন্য নীতিমালা তৈরি করা, নারীদের জন্য ফ্লেক্সিবল কর্মঘণ্টা বা চাইল্ড কেয়ারের ব্যবস্থা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে নারীরা পরিবার এবং কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন এবং আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন। যখন একজন নারী কর্মী মনে করেন যে তার যোগ্যতা এবং পরিশ্রমকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তখন তিনি আরও বেশি অনুপ্রাণিত হন। এই ধরনের অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিগুলো শুধুমাত্র নারীদের উপকার করে না, বরং পুরো প্রশাসনকেই আরও শক্তিশালী এবং আধুনিক করে তোলে।

글을마치며

জনপ্রশাসন নিয়ে আমাদের আজকের এই আলোচনা নিশ্চয়ই আপনাদের নতুন কিছু ভাবতে সাহায্য করেছে। এই জটিল বিষয়টি আসলে আমাদের সবার জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে, তাই এর প্রতিটি দিক সম্পর্কে সচেতন থাকা খুব জরুরি। আমার মনে হয়, এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা শুধু পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যই নয়, বরং একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবেও আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পেরেছি। মনে রাখবেন, একটি উন্নত প্রশাসন গড়ে তোলার পেছনে আমাদের সবারই ছোট ছোট অবদান রয়েছে!

Advertisement

알া두면 쓸모 있는 정보

১. সরকারি যেকোনো সেবা পেতে হলে প্রথমে সেই সেবার প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে অনলাইনে অথবা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওয়েবসাইটে জেনে নিন। এতে আপনার সময় ও শ্রম বাঁচবে।

২. আপনার এলাকার স্থানীয় সরকার অফিসে নাগরিক সনদ (Citizen’s Charter) আছে কিনা দেখে নিন। সেখানে প্রতিটি সেবার সময়সীমা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম উল্লেখ থাকে, যা আপনার অধিকার নিশ্চিত করে।

৩. যদি কোনো সরকারি সেবা পেতে গিয়ে কোনো রকম হয়রানির শিকার হন, তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর হটলাইনে অথবা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তি সেলে অভিযোগ জানাতে দ্বিধা করবেন না। আপনার অভিযোগ পরিবর্তন আনতে পারে।

৪. ডিজিটাল সেবার সুবিধা গ্রহণ করতে না পারলে, আপনার নিকটস্থ ডিজিটাল সেন্টার বা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। সেখানে প্রশিক্ষিত কর্মীরা আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।

৫. সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনার ভূমিকাও অপরিহার্য। স্থানীয় পর্যায়ের মিটিংয়ে অংশ নিন, আপনার এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বলুন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য আপনার মতামত দিন।

중요 사항 정리

আমাদের আজকের আলোচনায় জনপ্রশাসনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য। ডিজিটাল গভর্নেন্স কীভাবে সরকারি সেবাগুলোকে আরও সহজলভ্য ও স্বচ্ছ করে তুলছে, তা আমরা দেখলাম। এটি শুধু সময়ই বাঁচাচ্ছে না, বরং প্রশাসনিক কার্যক্রমে এক নতুন গতি এনেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নাগরিক হিসেবে আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ কতটা জরুরি, সে বিষয়েও আমরা বিশদভাবে জেনেছি। শুধুমাত্র ভোট দেওয়াই নয়, নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে আমাদের কণ্ঠস্বর কতটা মূল্যবান, তা স্পষ্ট হয়েছে। দুর্নীতি দমনে কঠোর আইনের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা এবং মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন যে অপরিহার্য, তা-ও উঠে এসেছে। এছাড়াও, প্রশাসনে লিঙ্গ সমতা এবং কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই দিকগুলো আমরা আলোকপাত করেছি। পরিশেষে, সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা এবং জানার অধিকার নিশ্চিত করা একটি জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের আস্থার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তোলে। মনে রাখবেন, একটি উন্নত ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে জনপ্রশাসনের প্রতিটি ধাপের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা অনস্বীকার্য।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: ডিজিটাল গভর্নেন্স আসলে কী এবং এটি কীভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আনছে?

উ: আমার নিজের যখন ডিজিটাল গভর্নেন্স নিয়ে প্রথম কৌতূহল জাগে, তখন মনে হয়েছিল এটা বুঝি কেবল কম্পিউটার আর ইন্টারনেটের জটিল কোনো বিষয়। কিন্তু সত্যি বলতে কী, ডিজিটাল গভর্নেন্স হলো সরকারি সেবাগুলোকে প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা, যাতে সব কাজ আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং দ্রুত হয়। ধরুন, আগে সরকারি কোনো কাগজপত্রের জন্য দিনের পর দিন লাইনে দাঁড়াতে হতো, যেটা আমার নিজেরই বহুবার হয়েছে। এখন জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে জমির রেকর্ড দেখা, এমনকি বিদ্যুৎ বিল দেওয়া পর্যন্ত বেশিরভাগ কাজই আমরা ঘরে বসে অনলাইনেই করে ফেলতে পারছি। আমি তো সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করে আমার ছোট ভাইয়ের পাসপোর্টের আবেদন করে দিয়েছি, পুরো প্রক্রিয়াটা এতটাই মসৃ ছিল যে ভাবতেই পারিনি!
ডিজিটাল গভর্নেন্সের হাত ধরে এখন ই-সার্ভিস, ই-কমার্স, মোবাইল ব্যাংকিং—সবকিছুই জনজীবনে এক বিশাল পরিবর্তন এনেছে। এতে একদিকে যেমন সরকারের বিভিন্ন স্তরে কাজের গতি বেড়েছে, তেমনি দুর্নীতির সুযোগও অনেক কমে এসেছে, কারণ সবকিছু ডিজিটাল রেকর্ড হিসেবে থাকছে। এতে জবাবদিহিতা অনেক বাড়ে, যা সুশাসনের জন্য ভীষণ জরুরি। আমার মনে হয়, এই প্রযুক্তির ছোঁয়াতে সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা এখন অনেক বেশি ক্ষমতাপ্রাপ্ত, কারণ তথ্য ও সেবা দুটোই আমাদের হাতের কাছে। আগামীতে এই ধারা আরও বাড়বে এবং আমরা আরও অত্যাধুনিক সরকারি সেবার অভিজ্ঞতা পাব, এটা নিশ্চিত।

প্র: সুশাসন বলতে আমরা কী বুঝি এবং সরকারি প্রশাসনে এর গুরুত্ব কতটুকু?

উ: সুশাসন – এই শব্দটা শুনলেই আমার মনে একটা দারুণ স্বচ্ছ আর সুন্দর প্রশাসনের ছবি ভেসে ওঠে। আমি যখন ছাত্রজীবনে এই বিষয়টা পড়া শুরু করি, তখন মনে হয়েছিল এটা হয়তো কেবল বইয়ের পাতাতেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বুঝেছি, সুশাসন আসলে আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে কতটা প্রভাবিত করে। সহজভাবে বলতে গেলে, সুশাসন মানে হলো এমন একটা শাসন ব্যবস্থা যেখানে সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন এবং জনগণের অংশগ্রহণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। মনে আছে, একবার একটি সরকারি অফিসে আমার একটি কাজ আটকে গিয়েছিল, কারণ প্রক্রিয়াটা স্পষ্ট ছিল না। তখন মনে হয়েছিল, যদি প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা থাকত, তাহলে এমনটা হতো না।সরকারি প্রশাসনে সুশাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটা ছাড়া কোনো দেশই উন্নতি করতে পারে না। যখন সরকার স্বচ্ছভাবে কাজ করে, দুর্নীতি কমে আসে, আর সব নাগরিক সমান সুযোগ পায়, তখন দেশটা সামগ্রিকভাবে এগিয়ে যায়। সুশাসন থাকলে সরকারি কর্মচারীরাও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হন এবং জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা বাড়ে। এতে জনসেবার মান উন্নত হয় এবং নাগরিকরা প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে পারে। আমার মনে হয়, সুশাসন কেবল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যই নয়, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের জন্যও খুব জরুরি। কারণ, এর মাধ্যমেই আমরা একটি উন্নত ও স্থিতিশীল সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখতে পারি।

প্র: জনপ্রশাসনে নাগরিক অংশগ্রহণ কতটা জরুরি এবং আমরা সাধারণ মানুষ কীভাবে এতে যুক্ত হতে পারি?

উ: জনপ্রশাসনে নাগরিক অংশগ্রহণ নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব উৎসাহী। আমার প্রথমদিকে মনে হতো, সরকার তার কাজ করছে, আমরা সাধারণ মানুষ শুধু তা অনুসরণ করব। কিন্তু পরে বুঝেছি, জনপ্রশাসন আসলে তখনই সবচেয়ে কার্যকর হয় যখন নাগরিকরা এতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকে। নাগরিক অংশগ্রহণ মানে শুধু ভোট দেওয়া নয়, বরং সরকারি নীতি প্রণয়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মতামত ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো। যেমন, একবার আমাদের এলাকায় একটি নতুন প্রকল্পের বিষয়ে স্থানীয় সভা হয়েছিল, যেখানে সবাই তাদের মতামত দিতে পেরেছিল। আমার অভিজ্ঞতা বলে, এই ধরনের অংশগ্রহণের ফলে সিদ্ধান্তগুলো জনগণের জন্য আরও বেশি ফলপ্রসূ হয়।নাগরিক অংশগ্রহণ জরুরি কারণ এটি প্রশাসনকে আরও বেশি জবাবদিহী করে তোলে এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী পরিষেবা নিশ্চিত করে। যখন জনগণ তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারে বা নীতি নির্ধারণে অংশ নিতে পারে, তখন সরকারের সিদ্ধান্তগুলো আরও বাস্তবসম্মত হয়। আমরা সাধারণ মানুষ বিভিন্ন উপায়ে এতে যুক্ত হতে পারি। যেমন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উপর মতামত দেওয়া, সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়া, অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নেওয়া। এমনকি, সরকারি অভিযোগ পোর্টালে আমাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরাও এক ধরনের নাগরিক অংশগ্রহণ। আমার মনে হয়, আমাদের ছোট ছোট অংশগ্রহণও সামগ্রিকভাবে একটি শক্তিশালী ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত প্রশাসন গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

📚 তথ্যসূত্র

Advertisement