পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রি: ক্যারিয়ারের দিগন্তে নতুন আলো, সুযোগগুলো হাতছাড়া করবেন না!

webmaster

**A recent public administration graduate stands confidently, a license in hand, symbolizing new opportunities in government and private sectors, with a backdrop of Dhaka's skyline at sunset.**

অবশেষে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ম্যানেজমেন্ট লাইসেন্স পেলাম! দীর্ঘদিনের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফল এটা। মনে একটা শান্তি লাগছে, আবার একই সাথে নতুন কিছু করার উত্তেজনাও কাজ করছে। এতদিন ধরে যা শিখেছি, সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। ভাবছি, এই লাইসেন্স দিয়ে কী কী করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির সুযোগ তো আছেই, তবে বেসরকারি ক্ষেত্রেও এখন অনেক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।আমার মনে হয়, এখন সময় এসেছে একটু অন্যরকম কিছু করার। গতানুগতিক পথে না হেঁটে, নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ নিতে চাই। হয়তো নিজের একটা কনসালটেন্সি ফার্ম খুলতে পারি, যেখানে সাধারণ মানুষকে সরকারি সুযোগ সুবিধাগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা যাবে। আবার এমনও হতে পারে, কোনো সামাজিক উন্নয়নমূলক সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করলাম।এই লাইসেন্স পাওয়ার পর আমার দৃষ্টিভঙ্গিটাই বদলে গেছে। এখন আমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং আশাবাদী। জানি না ভবিষ্যৎ আমার জন্য কী নিয়ে অপেক্ষা করছে, তবে আমি প্রস্তুত। নতুন কিছু শিখতে, নতুন কিছু করতে, আর সেই সাথে নিজের স্বপ্নগুলোকে সত্যি করতে আমি বদ্ধপরিকর।আসুন, এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্স: নতুন দিগন্তের সূচনা

করব - 이미지 1
পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ম্যানেজমেন্ট লাইসেন্স পাওয়ার পরে আমার মনে হচ্ছে যেন এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এতদিন ধরে যে পড়াশোনা করেছি, যা শিখেছি, সেগুলোকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার সুযোগ এসেছে। এখন আমি আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং নিজের লক্ষ্য পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। লাইসেন্সটি পাওয়ার পরে আমি বুঝতে পারছি, আমার সামনে এখন কত নতুন সুযোগ অপেক্ষা করছে। একদিকে যেমন সরকারি চাকরির হাতছানি আছে, তেমনি বেসরকারি ক্ষেত্রেও কাজের অভাব নেই। তবে আমি চাই এমন কিছু করতে, যা সমাজের জন্য সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে পারে।

১. সরকারি চাকরির সুযোগ এবং প্রস্তুতি

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্সধারীদের জন্য সরকারি বিভিন্ন দফতরে কাজের সুযোগ রয়েছে। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইত্যাদি পদে আবেদন করা যায়। এছাড়া, সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও চাকরির সুযোগ থাকে। সরকারি চাকরির জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হলে নিয়মিত পড়াশোনা, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে জ্ঞান রাখা এবং পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।* বিসিএস পরীক্ষার জন্য সিলেবাস অনুসরণ করে প্রস্তুতি নিতে হবে।
* নিয়মিত পত্রিকা পড়ে সাধারণ জ্ঞান ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে।
* গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে।

২. বেসরকারী ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান

বর্তমানে বেসরকারী ক্ষেত্রেও পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনgraduates স্নাতকদের জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা পদে লোক নিয়োগ করা হয়। এছাড়া, বিভিন্ন কনসালটেন্সি ফার্ম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং ডেভলপমেন্ট সেক্টরেও কাজের সুযোগ রয়েছে। বেসরকারী ক্ষেত্রে ভালো করতে হলে যোগাযোগ দক্ষতা, সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী থাকা আবশ্যক।* বিভিন্ন এনজিও এবং ডেভলপমেন্ট সংস্থায় কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন।
* কনসালটেন্সি ফার্মগুলোতে প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কাজের সুযোগ রয়েছে।
* যোগাযোগ দক্ষতা এবং নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে চাকরির সন্ধান করতে পারেন।

আত্ম-কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা

লাইসেন্স পাওয়ার পর আমার মনে হয়েছে, কেন না নিজেই কিছু করি? নিজের একটা কনসালটেন্সি ফার্ম খুললে কেমন হয়, যেখানে সাধারণ মানুষকে সরকারি সুযোগ সুবিধাগুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা যাবে। এছাড়া, অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে, যেখানে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক জ্ঞান শেয়ার করা হবে।

১. কনসালটেন্সি ফার্ম প্রতিষ্ঠা

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্স ব্যবহার করে একটি কনসালটেন্সি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। এই ফার্মের মাধ্যমে সরকারি নীতি, পরিকল্পনা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, সরকারি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে বিস্তারিত তথ্য জানানো এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা যেতে পারে।* ফার্মের জন্য একটি ভালো নাম নির্বাচন করতে হবে এবং ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।
* যোগ্য ও অভিজ্ঞ পরামর্শক নিয়োগ করতে হবে।
* মার্কেটিং এবং প্রচারের মাধ্যমে ফার্মের পরিচিতি বাড়াতে হবে।

২. অনলাইন প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ সেবা

বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব। এই প্রশিক্ষণে সরকারি নীতি, প্রশাসনিক কাঠামো, উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনা কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যেতে পারে। এছাড়া, অনলাইনে পরামর্শ সেবা প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা যেতে পারে।* একটি ওয়েবসাইট বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে।
* প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত কোর্স ম্যাটেরিয়াল তৈরি করতে হবে।
* সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে অবদান

আমার সবসময়ই সমাজের জন্য কিছু করার একটা তাগিদ ছিল। তাই ভাবছি, কোনো সামাজিক উন্নয়নমূলক সংস্থার সাথে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করলে কেমন হয়। এতে একদিকে যেমন মানুষের সেবা করা যাবে, তেমনি অন্যদিকে নিজের অর্জিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ পাওয়া যাবে।

১. এনজিওতে যোগদান এবং মাঠ পর্যায়ে কাজ

বিভিন্ন এনজিও (NGO) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্সধারীরা এসব এনজিওতে যোগদান করে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে পারেন। এতে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখা সম্ভব।* নিজ এলাকার কাছাকাছি এনজিওগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
* এনজিওর কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
* আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

২. স্থানীয় সরকার এবং কমিউনিটি উন্নয়নে অংশগ্রহণ

স্থানীয় সরকার এবং কমিউনিটি উন্নয়নে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাজের জন্য কাজ করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়, যেখানে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনgraduates স্নাতকদের জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করা যায়।* স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন কমিটিতে অংশ নিতে পারেন।
* কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
* জনগণের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পারেন।

উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার সুযোগ

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্স পাওয়ার পর উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার সুযোগও রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।

১. মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করা যায়। মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা এবং গবেষণা করার সুযোগ পান। এছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে যোগদানের সুযোগও বৃদ্ধি পায়।* ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
* নিয়মিত পড়াশোনা এবং গবেষণা করতে হবে।
* থিসিস এবং ডিজার্টেশন লেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।

২. গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগদান

বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সরকারি নীতি এবং পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করা যায়। এছাড়া, গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি এবং তা সমাজের কল্যাণে ব্যবহার করা যায়।* গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখতে হবে।
* আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
* সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

সুযোগ বর্ণনা প্রস্তুতি
সরকারি চাকরি বিসিএস, মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইউএনও সিলেবাস অনুসরণ, পত্রিকা পড়া, গণিত ও ইংরেজিতে দক্ষতা
বেসরকারি চাকরি এনজিও, কনসালটেন্সি ফার্ম, ডেভলপমেন্ট সেক্টর যোগাযোগ দক্ষতা, সমস্যা সমাধান, নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী
আত্ম-কর্মসংস্থান কনসালটেন্সি ফার্ম, অনলাইন প্রশিক্ষণ ট্রেড লাইসেন্স, ওয়েবসাইট তৈরি, কোর্স ম্যাটেরিয়াল তৈরি
সামাজিক উন্নয়ন এনজিওতে যোগদান, স্থানীয় সরকারে অংশগ্রহণ এনজিওর কার্যক্রম জানা, ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করা
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা মাস্টার্স, পিএইচডি, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগদান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতি, নিয়মিত গবেষণা, চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখা

পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নেটওয়ার্কিং

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্স পাওয়ার পরে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নেটওয়ার্কিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন জ্ঞান অর্জন করা যায়। এছাড়া, সমমনা পেশাজীবীদের সাথে যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের উন্নতিতে সহায়তা পাওয়া যায়।

১. প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণ

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন দক্ষতা অর্জন করা যায়। এসব প্রশিক্ষণ থেকে সরকারি নীতি, প্রশাসনিক কাঠামো এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করা যায়। এছাড়া, কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।* বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপাওয়া যায়।* যোগাযোগ দক্ষতা এবং নেটওয়ার্কিং বাড়ানোর জন্য সেমিনার এবং কনফারেন্সে অংশ নিতে পারেন।
* পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য হতে পারেন।
* অনলাইন ফোরাম এবং গ্রুপে সক্রিয় থাকতে পারেন।

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্স পাওয়ার পরে একটি সুনির্দিষ্ট ক্যারিয়ার পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। ভবিষ্যতে কী করতে চান, তার একটি সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। সেই অনুযায়ী নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রস্তুতি নিতে হবে।

১. স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ

ক্যারিয়ারের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরি। স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য হতে পারে একটি ভালো চাকরি পাওয়া, আর দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হতে পারে একটি নির্দিষ্ট পদে পদোন্নতি বা নিজের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা।* নিজের আগ্রহ এবং দক্ষতার উপর ভিত্তি করে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
* লক্ষ্য পূরণের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।
* নিয়মিতভাবে নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করতে হবে।

২. ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে অনেক চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। প্রযুক্তির উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন প্রশাসনিক কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।* নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে এবং তা ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
* জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে।
* বৈশ্বিক অর্থনীতির গতিবিধি সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

শেষ কথা

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্স পাওয়ার পরে আমার এই অনুভূতিগুলো শেয়ার করার একটাই উদ্দেশ্য, যাতে এই বিষয়ে যারা আগ্রহী, তারা একটা সঠিক দিশা খুঁজে পায়। আমার বিশ্বাস, চেষ্টা করলে যে কেউ এই লাইসেন্স ব্যবহার করে নিজের এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবে।

লেখার শেষাংশ

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্স পাওয়ার পরে জীবনটা যেন নতুন করে শুরু হল। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। সবার জন্য শুভকামনা!

দরকারী কিছু তথ্য

১. পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্স পাওয়ার পর সরকারি চাকরির জন্য বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন।

২. বেসরকারি সংস্থায় কাজের জন্য ভালো যোগাযোগ দক্ষতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলী থাকা জরুরি।

৩. নিজের কনসালটেন্সি ফার্ম খুলতে চাইলে ট্রেড লাইসেন্স এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে হবে।

৪. সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাজের জন্য অবদান রাখা যায়।

৫. উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ

পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লাইসেন্সধারীদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, আত্ম-কর্মসংস্থান এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের আরও উন্নতি করা সম্ভব।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ম্যানেজমেন্ট লাইসেন্স দিয়ে কী কী করা যায়?

উ: এই লাইসেন্স দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই কাজের সুযোগ রয়েছে। সরকারি চাকরি, কনসালটেন্সি ফার্ম খোলা, সামাজিক উন্নয়নমূলক সংস্থায় যোগদান অথবা নিজস্ব ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু করা যেতে পারে।

প্র: এই লাইসেন্স পেতে কতদিন সময় লাগে?

উ: লাইসেন্স পাওয়ার সময়কাল ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের পর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

প্র: পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ম্যানেজমেন্ট লাইসেন্স কি সবার জন্য প্রযোজ্য?

উ: এই লাইসেন্স পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং শর্ত পূরণ করতে হয়। সাধারণত, এই বিষয়ে পড়াশোনা এবং কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়। তবে, যোগ্যতা এবং শর্তাবলী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।

Leave a Comment