পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন লিখিত পরীক্ষার সময় ব্যবস্থাপনার চমকপ্রদ কৌশল যা আপনাকে টপকে দেবে!

webmaster

공공관리사 필기시험 대비를 위한 시간 관리 전략 - **Prompt 1: Focused Study Session**
    A young female student, aged around 20, is seated comfortabl...

আহ, আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই? আপনাদের ভালোবাসায় আপনাদের এই ‘আপা’র ব্লগে প্রতিদিন এক লাখেরও বেশি মানুষের আনাগোনা, এটা ভাবতেই মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। গত কয়েকদিনে আপনারা অনেকেই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিয়ে নানা প্রশ্ন পাঠিয়েছেন। বিশেষ করে, পরীক্ষার এই কঠিন সময়ে সময়টাকে কিভাবে মুঠোয় ধরে রাখবেন, এই নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। আমিও তো আপনাদেরই মতো এই পড়াশোনার গণ্ডি পেরিয়ে এসেছি, তাই এই চাপটা খুব ভালোভাবে বুঝি।আজকের দিনে শুধু পড়লে হয় না, স্মার্টলি পড়তে হয়। আজকালকার প্রতিযোগিতার যুগে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র মেধা থাকলেই চলে না, সময় ব্যবস্থাপনার কৌশলটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে হাজারো স্টাডি মেটেরিয়াল আর টিউটোরিয়াল দেখে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যান। তাই এই ডিজিটাল যুগে কিভাবে সঠিক পরিকল্পনা করে এগোবেন, সেটাই আজকের আলোচনার মূল বিষয়। ChatGPT-এর মতো অত্যাধুনিক এআই টুলসও এখন বিভিন্ন পড়াশোনায় সাহায্য করছে, কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে এগুলোর সুফলও পুরোপুরি পাওয়া যায় না। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, সময়কে কাজে লাগানো মানে শুধু রুটিন মেনে চলা নয়, বরং মানসিক প্রস্তুতি আর ধৈর্যও সমান জরুরি। আমি যখন প্রথমবার চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন আমারও মনে হয়েছিল এত কম সময়ে এত কিছু কিভাবে সম্ভব!

কিন্তু কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করে আমি ঠিকই উতরে গিয়েছিলাম। সেই সব পরীক্ষিত কৌশলগুলোই আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব, যা আপনাদের পাবলিক ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট পরীক্ষার (বা সমমানের যেকোনো সরকারি পরীক্ষার) প্রস্তুতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই কৌশলগুলো শুধু পরীক্ষার জন্য নয়, জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমানভাবে কার্যকর। তাই একদম শেষ পর্যন্ত আমার সাথেই থাকুন।আসুন, তাহলে সময় ব্যবস্থাপনার সেই গুপ্তধনগুলো খুঁজে বের করি আর জেনে নিই কিভাবে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কঠিন পথটাকেও সহজ করে তোলা যায়, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক!

নিজের সক্ষমতা বুঝে রুটিন তৈরি: ভুল করা যাবে না কিন্তু!

공공관리사 필기시험 대비를 위한 시간 관리 전략 - **Prompt 1: Focused Study Session**
    A young female student, aged around 20, is seated comfortabl...

নিজের শরীর আর মনকে গুরুত্ব দিন

আমি জানি, সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে নেমে অনেকেই দিনরাত এক করে ফেলেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন, নিজের শরীর আর মনের দিকে খেয়াল না রেখে কখনোই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব নয়। আমি যখন প্রথমবার প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম, তখন আমিও অন্যদের দেখাদেখি সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকতাম। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বুঝেছিলাম, এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। ক্লান্তি আর একঘেয়েমি আমাকে পেয়ে বসছিল। তাই সবার আগে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার শরীর এবং মন কখন সবচেয়ে ভালো কাজ করে। আপনি কি সকালে উঠে পড়তে ভালোবাসেন নাকি রাতে নির্জনে পড়া আপনার জন্য বেশি কার্যকর?

এই সহজ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করাটা খুবই জরুরি। যেমন, আমি নিজে সকালের দিকে নতুন বিষয় পড়তে পছন্দ করতাম, যখন আমার মন একদম সতেজ থাকত। আর কঠিন অঙ্ক বা জটিল সূত্রগুলো রাতে যখন চারপাশে একদম শান্ত, তখন অনুশীলন করতাম। জোর করে নিজের পছন্দের বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলে তা বেশিদিন টেকে না। তাই এমন একটি রুটিন তৈরি করুন যা আপনার প্রাকৃতিক ছন্দকে সম্মান করে, যা আপনাকে ক্লান্তির বদলে সতেজ করে তুলবে। ঘুম আর বিশ্রামকে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। পর্যাপ্ত ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে তথ্যগুলো প্রক্রিয়াকরণ এবং ধরে রাখতে সাহায্য করে, যা পরীক্ষার হলে সঠিক সময়ে মনে পড়ার জন্য অত্যাবশ্যক। ব্যক্তিগতভাবে, আমি প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতাম এবং মাঝে মাঝে ছোট ছোট পাওয়ার ন্যাপ নিতাম, যা আমাকে নতুন উদ্যমে কাজ করতে সাহায্য করত।

বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ: একটু একটু করে পথ চলা

অনেক সময় আমরা পরীক্ষার আগে ভাবি, “ইস! যদি সব বই একবারে শেষ করে ফেলতাম!” আর এই ভাবনা থেকেই অবাস্তব লক্ষ্য স্থির করে ফেলি। প্রতিদিন এতগুলো অধ্যায় শেষ করব, এতগুলো মক টেস্ট দেব – এসব শুনে বেশ ভালোই লাগে, কিন্তু বাস্তবে তা করে ওঠা বেশ কঠিন। আমি নিজে দেখেছি, যখন আমার লক্ষ্যগুলো খুব বড় হয়ে যেত, তখন সেগুলোকে পূরণ করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়তাম। আর এই হতাশাটাই আমার প্রস্তুতির গতি কমিয়ে দিত। তাই আমার পরামর্শ হলো, ছোট ছোট এবং বাস্তবসম্মত লক্ষ্য ঠিক করুন। যেমন, আজকের দিনে আমি শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের এই অধ্যায়টি শেষ করব, বা এই কয়েকটি সূত্র অনুশীলন করব। যখন আপনি এই ছোট ছোট লক্ষ্যগুলো পূরণ করতে পারবেন, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এই আত্মবিশ্বাস আপনাকে আরও বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন, একটি ম্যারাথন দৌড়াতে হলে ধাপে ধাপে এগোতে হয়, এক লাফে গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। আপনার সময়সূচীতে নমনীয়তা রাখুন, কারণ অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটতেই পারে। অসুস্থতা, পারিবারিক কাজ বা জরুরি কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে রুটিন ভাঙতে পারে। এতে ঘাবড়ে না গিয়ে, পরের দিন থেকে আবার নিজের ছন্দে ফিরে আসার চেষ্টা করুন। আমি সবসময় আমার রুটিনে কিছু ফাঁকা সময় রাখতাম, যাতে হঠাৎ করে কিছু প্রয়োজন হলে সেটা সামাল দেওয়া যায় এবং আমার মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হই। এটা আমাকে মানসিক চাপ থেকেও মুক্ত রাখত।

সময়কে ভাগ করার সহজ কৌশল: ছোট ছোট ধাপে এগিয়ে চলুন

পমোডোরো কৌশল: অল্প সময়ে বেশি কাজ

আমার মনে আছে, যখন প্রথমবার পমোডোরো কৌশল ব্যবহার করা শুরু করলাম, তখন বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে এটা কতটা কার্যকর হতে পারে। ২০-২৫ মিনিট ধরে একটানা মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করা, তারপর ৫ মিনিটের বিরতি – এই সহজ পদ্ধতিটা আমার মনোযোগ ধরে রাখতে ভীষণ সাহায্য করেছিল। যারা দীর্ঘক্ষণ ধরে মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন না, তাদের জন্য এটি যেন এক জাদুর কাঠি। বিশেষ করে গণিত বা ইংরেজি গ্রামারের মতো বিষয়গুলো অনুশীলন করার সময় এই কৌশলটা আমার জন্য খুব ভালো কাজ দিত। একটানা অনেকক্ষণ ধরে বই নিয়ে বসে থাকার চেয়ে, অল্প অল্প করে কিন্তু মনোযোগ সহকারে পড়লে শেখাটা অনেক বেশি কার্যকর হয়। আমি যখন কোনো কঠিন বিষয়ে আটকে যেতাম, তখন এই কৌশলে বিরতি নিয়ে একটু হেঁটে আসতাম বা চোখ বন্ধ করে আরাম করতাম। এতে আমার মস্তিষ্ক বিশ্রাম পেত এবং নতুন করে সমস্যা সমাধানের শক্তি খুঁজে পেত। আপনিও নিজের পছন্দমতো বিরতি এবং কাজের সময় সেট করতে পারেন, তবে শুরুটা ২০-২৫ মিনিট কাজ আর ৫ মিনিটের বিরতি দিয়ে করাই ভালো। এইভাবে কয়েকবার করার পর একটি লম্বা বিরতি নিতে পারেন, যা আপনার শরীর এবং মনকে নতুন করে চাঙা করবে। এই পদ্ধতিটি শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রেই নয়, যেকোনো ধরনের কাজে মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

কঠিন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিন: চালাকির সাথে কাজ করা

সত্যি বলতে, সব বিষয় তো আর আমাদের সমান প্রিয় হয় না, তাই না? কিছু বিষয় আমাদের জন্য খুবই সহজ মনে হয়, আবার কিছু বিষয় খুবই কঠিন লাগে। আমার ক্ষেত্রে, সাধারণ জ্ঞান আর বাংলা সাহিত্য বেশ প্রিয় ছিল, কিন্তু অঙ্ক আর ইংরেজি গ্রামার আমাকে বেশ ভোগাতো। আমি দেখেছি, অনেকে সহজ বিষয়গুলো বারবার পড়ে সময় নষ্ট করেন, আর কঠিন বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলেন। এটা কিন্তু একদম ভুল একটা পদ্ধতি। আপনার সময় ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত কঠিন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া। আমি সবসময় দিনের প্রথম ভাগে, যখন আমার মন সবচেয়ে সতেজ থাকে, তখন কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে বসতাম। এতে কঠিন বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করা যেত এবং দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে গেলে সহজ বিষয়গুলো পড়া সহজ হতো। এই কৌশলটা আমাকে শুধু কঠিন বিষয়গুলো শেখার ক্ষেত্রেই সাহায্য করেনি, বরং পরীক্ষার আগে আমার আত্মবিশ্বাসও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছিল। কারণ, আমি জানতাম আমার দুর্বল জায়গাগুলোও আমি ভালোভাবে সামলেছি। তাই আজ থেকে আর কোনো বিষয়কে ভয় না পেয়ে, সেগুলোকে আপনার রুটিনের প্রথম দিকে রাখুন। দেখবেন, ধীরে ধীরে কঠিন বিষয়গুলোও আপনার কাছে সহজ হয়ে উঠছে।

Advertisement

ডিজিটাল যুগে পড়াশোনার সঙ্গী: স্মার্ট টুলসের সঠিক ব্যবহার

অনলাইন রিসোর্স ও অ্যাপস: জ্ঞান অর্জনের নতুন দিগন্ত

বর্তমান সময়ে তো হাতের মুঠোয়ই জ্ঞানের ভান্ডার! অনলাইন রিসোর্স আর নানা ধরনের এডুকেশনাল অ্যাপস আমাদের প্রস্তুতিকে অনেক সহজ করে তুলেছে। আমি যখন প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন এত বেশি অপশন ছিল না, কিন্তু এখন তো হাজার হাজার ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল আর অ্যাপস আছে। তবে এখানে একটা ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে – সব কিছু দেখতে গিয়ে যেন আবার তালগোল পাকিয়ে না যায়!

আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, নির্দিষ্ট কিছু ভালো মানের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আর অ্যাপস বেছে নেওয়াটা খুবই জরুরি। যেমন, বিভিন্ন মক টেস্টের জন্য আমি নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ ব্যবহার করতাম, যা আমাকে আমার দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে সাহায্য করত। ইউটিউবে কিছু শিক্ষকের লেকচার তো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য আশীর্বাদের মতো কাজ করে!

বিশেষ করে যখন কোনো বিষয় বুঝতে পারতাম না, তখন তাদের সহজবোধ্য ভিডিওগুলো অনেক কাজে আসত। তবে হ্যাঁ, একটা কথা বলি, এসব কিছু ব্যবহার করার সময় সময়ের দিকে খেয়াল রাখাটা খুব জরুরি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়া বা অপ্রয়োজনীয় ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করলে কিন্তু চলবে না। আমি সবসময় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এসব রিসোর্স ব্যবহার করতাম এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো নোট করে রাখতাম। এতে সময় নষ্ট না হয়ে বরং আমার প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী হতো।

এআই টুলসের সদ্ব্যবহার: পড়াশোনার নতুন বন্ধু

আজকাল ChatGPT বা Bard-এর মতো এআই টুলসগুলো কী না করতে পারে! এই টুলসগুলো যে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক হতে পারে, তা আমি নিজে ব্যবহার করে বুঝেছি। আপনি হয়তো ভাবছেন, “এআই দিয়ে আবার পড়াশোনা কিভাবে হবে?” আরে বাবা, আমি তো আর আপনাকে পুরো পরীক্ষার উত্তর এআই দিয়ে লিখতে বলছি না!

বরং, এআইকে আপনি আপনার পড়াশোনার একটি স্মার্ট সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, কোনো জটিল বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে, এআইকে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে বলতে পারেন। অথবা, কোনো প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় কীভাবে আরও ভালোভাবে সাজানো যায়, তার জন্য পরামর্শ নিতে পারেন। আমি যখন কোনো বিষয়ের উপর প্রবন্ধ লিখতে বসতাম, তখন এআই থেকে বিভিন্ন তথ্য বা কাঠামোগত আইডিয়া নিতাম। এতে আমার লেখা আরও সমৃদ্ধ হতো এবং নতুন নতুন চিন্তা করতে পারতাম। তবে মনে রাখবেন, এআই টুলস শুধু আপনাকে সাহায্য করতে পারে, আপনার নিজের পড়া এবং বোঝাটা সবচেয়ে জরুরি। এআই-এর দেওয়া তথ্য সবসময় যাচাই করে নেবেন, কারণ এটি ভুল তথ্যও দিতে পারে। নিজে পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জন করার কোনো বিকল্প নেই, এআই শুধু আপনার পথচলাকে আরও মসৃণ করতে পারে।

মানসিক চাপ সামলানো: সুস্থ মন, সুন্দর প্রস্তুতি

Advertisement

সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম: শরীর ও মনের সুস্থতা

আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, বিশ্বাস করুন, পরীক্ষার প্রস্তুতি মানে শুধু বইয়ে মুখ গুঁজে থাকা নয়। আপনার শরীর এবং মনের সুস্থতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন খুব টেনশনে থাকতাম। তখন আমার এক বড় আপা আমাকে বলেছিলেন, “মন ভালো না থাকলে পড়াশোনাও ভালো হবে না।” তাঁর কথা শুনে আমি প্রতিদিন সকালে ২০-৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা শুরু করলাম। আর হালকা কিছু ব্যায়াম করতাম। সত্যি বলতে, এতে আমার মন অনেক শান্ত থাকত এবং নতুন করে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারতাম। জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে ফল, সবজি আর পর্যাপ্ত পানি পান করাটা খুব জরুরি। যখন মনটা অস্থির লাগত, তখন আমি একটু হেঁটে আসতাম বা শ্বাস-প্রশ্বাসের কিছু সহজ ব্যায়াম করতাম। এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি পেতাম। সুস্থ শরীর আর সতেজ মন আপনাকে কঠিন বিষয়গুলো মনে রাখতে এবং পরীক্ষার হলে ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের শরীর ও মনের দিকে একটু খেয়াল রাখুন। এটা কিন্তু আপনার প্রস্তুতিরই অংশ।

নেতিবাচক চিন্তা পরিহার ও ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি: আশাবাদী হয়ে বাঁচুন

প্রস্তুতির সময় মাঝে মাঝে আমাদের সবার মনেই নেতিবাচক চিন্তা আসে, “যদি না পাই?”, “অন্যরা তো অনেক এগিয়ে আছে।” আমারও আসত এমন চিন্তা। কিন্তু আমি শিখেছি যে এই ধরনের চিন্তাগুলোকে একদম পাত্তা না দিতে। কারণ নেতিবাচক চিন্তাগুলো শুধু আমাদের মনোবলই কমায় না, বরং পড়াশোনায় মনোযোগও নষ্ট করে দেয়। তাই আমি সবসময় ইতিবাচক মানুষদের সাথে মিশতাম, যারা আমাকে অনুপ্রাণিত করত। পরিবারের সদস্যরা বা বন্ধুরা যারা আমার এই যাত্রায় আমার পাশে ছিল, তাদের সাথে কথা বলতাম। কোনো কারণে মন খারাপ হলে বা পড়াশোনায় বিরক্তি এলে, আমার পছন্দের গান শুনতাম অথবা ছোট গল্পের বই পড়তাম। এতে মন হালকা হতো। আপনার চারপাশে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করুন যেখানে শুধু ইতিবাচকতা থাকবে। সফল মানুষদের গল্প পড়ুন, অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও দেখুন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আপনি কঠোর পরিশ্রম করছেন, আর আপনার পরিশ্রমের ফল আপনি নিশ্চয়ই পাবেন। আমি সবসময় বিশ্বাস করতাম, “চেষ্টা করলে ফল মিলবেই।” আর এই বিশ্বাসই আমাকে আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। মনে রাখবেন, মানসিক সুস্থতা আপনার প্রস্তুতির ৫০%।

পুনরাবৃত্তি আর পর্যালোচনা: সাফল্যের মূলমন্ত্র

নিয়মিত পুনর্বিবেচনা: মনে রাখার সহজ উপায়

공공관리사 필기시험 대비를 위한 시간 관리 전략 - **Prompt 2: Refreshing Study Break**
    A young male student, in his early twenties, is taking a we...

“পুনরাবৃত্তি সাফল্যের চাবিকাঠি”—এই কথাটা শুধু বইয়ের বুলি নয়, এটা একদম বাস্তব! আমি যখন প্রথমবার কোনো বিষয় পড়তাম, তখন মনে হতো সব মনে থাকছে। কিন্তু কিছুদিন পরই দেখতাম অনেকটাই ভুলে গেছি। তখন বুঝেছিলাম, শুধু একবার পড়লে হবে না, নিয়মিত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। আমি সবসময় একটি রুটিন তৈরি করতাম যেখানে প্রতিদিন কিছু সময় নতুন বিষয় পড়ার পাশাপাশি আগের পড়া বিষয়গুলো ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য রাখতাম। এটা আমাকে দীর্ঘ মেয়াদে তথ্যগুলো মনে রাখতে সাহায্য করত। বিশেষ করে কঠিন সূত্র, তারিখ বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বারবার দেখতে হতো। আমি ছোট ছোট ফ্ল্যাশকার্ড তৈরি করতাম যেখানে প্রশ্ন আর উত্তর লিখা থাকত। অবসর সময়ে বা যাতায়াতের সময় আমি সেগুলো দেখতাম। এতে আমার মস্তিষ্ক বারবার সেই তথ্যগুলোর সাথে পরিচিত হতো এবং সেগুলোকে স্থায়ী স্মৃতিতে রূপান্তরিত করত। শুধু পড়লেই হবে না, পড়া জিনিসটা যেন আপনার মনের গভীরে গেঁথে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মক টেস্ট ও পূর্ববর্তী প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ: নিজের ভুল থেকে শিক্ষা

পরীক্ষার আগে মক টেস্ট দেওয়া আর পূর্ববর্তী প্রশ্নপত্রগুলো বিশ্লেষণ করাটা যে কতটা জরুরি, তা বলে বোঝানো যাবে না। আমি নিজে দেখেছি, শুধু পড়ে গেলেই হয় না, পরীক্ষার পরিবেশে সময় ধরে প্রশ্ন সমাধানের অভ্যাস করাটাও খুব দরকার। মক টেস্টগুলো আমাকে পরীক্ষার পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করত এবং কোথায় আমার ভুল হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করতে পারতাম। প্রতিটি মক টেস্ট দেওয়ার পর আমি বসে বসে আমার ভুলগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতাম। কোন ধরনের প্রশ্নে আমি বেশি ভুল করছি, কোন অংশে আমার দুর্বলতা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সেই বিষয়গুলো আবার মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। এছাড়া, বিগত বছরের প্রশ্নপত্রগুলো সমাধান করলে একটা ধারণা পাওয়া যায় যে, কেমন ধরনের প্রশ্ন পরীক্ষায় আসতে পারে এবং কোন বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এতে আমার প্রস্তুতি আরও সুনির্দিষ্ট হতো। আমি মনে করি, মক টেস্ট দেওয়া মানে শুধু নিজের জ্ঞান যাচাই করা নয়, বরং নিজের ভুলগুলো থেকে শেখা এবং সেগুলোকে শুধরে নেওয়ার একটা সুযোগ। তাই যত বেশি সম্ভব মক টেস্ট দিন এবং আপনার ভুলগুলো থেকে শিখুন।

এখানে বিভিন্ন বিষয় অনুযায়ী প্রস্তুতি এবং পুনর্বিবেচনার কৌশলগুলো একটি ছকে তুলে ধরা হলো:

বিষয় প্রস্তুতি কৌশল পুনর্বিবেচনা কৌশল
বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্য অংশ আলাদাভাবে পড়া, গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিকদের জীবনী ও রচনা মনে রাখা। ছোট ফ্ল্যাশকার্ড তৈরি করে সাহিত্যিক ও রচনার নাম মিলিয়ে দেখা, ব্যাকরণের নিয়মগুলো নিয়মিত অনুশীলন করা।
ইংরেজি গ্রামার রুলস বোঝা ও অনুশীলন, ভোকাবুলারি বাড়ানো, প্রতিদিন ইংরেজি সংবাদপত্র বা ম্যাগাজিন পড়া। প্রতিদিন নতুন শব্দ শেখা, গ্রামার রুলসের উপর ভিত্তি করে কুইজ দেওয়া, বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান।
গণিত প্রতিদিন সূত্র মুখস্থ করা ও অনুশীলন, সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি বোঝা, শর্টকাট কৌশল আয়ত্ত করা। নিয়মিত অঙ্ক কষা, কঠিন অঙ্কের সমাধান নোট করে রাখা, নির্দিষ্ট সময় ধরে মক টেস্ট দেওয়া।
সাধারণ জ্ঞান দৈনন্দিন ঘটনা সম্পর্কে আপডেটেড থাকা, ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান ও সংবিধানের মৌলিক বিষয়গুলো পড়া। সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করা, প্রতিদিন সংবাদপত্র পড়া, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন পড়া।

পরিকল্পনা বনাম বাস্তবতা: নমনীয়তাও জরুরি

নমনীয় রুটিন তৈরি: পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়া

আমার প্রিয় বন্ধুরা, আমরা সবাই হয়তো জীবনে অন্তত একবার হলেও এমন একটি রুটিন তৈরি করেছি যা আমরা এক সপ্তাহও মেনে চলতে পারিনি। আমার ক্ষেত্রেও এমনটা বহুবার হয়েছে। প্রথমে ভাবতাম, প্রতিদিন ভোর ৫টায় উঠব আর রাত ১২টা পর্যন্ত পড়ব!

কিন্তু দুইদিন পরেই আমার সব উৎসাহ ফিকে হয়ে যেত। আসলে, আমাদের জীবন তো আর একদম সরল রেখার মতো চলে না, তাই না? অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতেই পারে, যেমন হঠাৎ অসুস্থতা, কোনো পারিবারিক কাজ বা অন্য কোনো জরুরি বিষয়। এই পরিস্থিতিতে যদি আপনার রুটিন একদম অনমনীয় হয়, তাহলে সেটা ভেঙে গেলে আপনি হতাশ হয়ে পড়বেন। আর এই হতাশা আপনার প্রস্তুতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই আমার পরামর্শ হলো, একটি নমনীয় রুটিন তৈরি করুন। আপনার রুটিনে কিছু ফাঁকা সময় রাখুন, যা আপনি অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা, যদি কোনোদিন আপনার রুটিন অনুযায়ী সব কাজ শেষ করতে না পারেন, তবে নিজেকে অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে পরের দিন থেকে আবার শুরু করুন। আমি সবসময় আমার রুটিনে সপ্তাহের একটা দিন একটু হালকা রাখতাম, যেখানে আমি নিজের পছন্দের কাজ করতাম বা আগের সপ্তাহের পড়াগুলো ঝালিয়ে নিতাম। এতে আমার মন সতেজ থাকত এবং আমি আবার নতুন উদ্যমে প্রস্তুতি নিতে পারতাম।

Advertisement

নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন: এটাই আসল সম্পদ

আমরা যখন কোনো বড় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিই, তখন প্রায়শই নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভুলে যাই। ভাবি, আগে পরীক্ষাটা পাশ করি, তারপর বিশ্রাম নেব। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এটা একটা ভুল ধারণা। আপনার শরীর আর মন যদি সুস্থ না থাকে, তাহলে যতই পড়াশোনা করুন না কেন, পরীক্ষার হলে সেরাটা দিতে পারবেন না। আমি যখন খুব বেশি চাপে থাকতাম, তখন রাতে ঠিকমতো ঘুম হতো না, খেতেও ভালো লাগত না। এতে আমার মনোযোগ ক্ষমতা কমে যেত এবং আমি যা পড়তাম, তা মনে রাখতে পারতাম না। তখন আমি সচেতনভাবে দিনে অন্তত ১৫-২০ মিনিটের জন্য মেডিটেশন করা শুরু করি এবং প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করতাম। এর ফলে আমার মন শান্ত থাকত এবং স্ট্রেস অনেকটাই কমে যেত। বন্ধু বা পরিবারের সাথে সময় কাটানো, পছন্দের কোনো কাজ করা, বা প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া – এগুলো আপনাকে মানসিক শান্তি দেবে। নিজের পছন্দের হবিগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন না। মনে রাখবেন, আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই সম্পদকে অবহেলা করলে তার ফল ভালো হয় না। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার আর মানসিক শান্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করুন। আপনার সুস্থ শরীর ও সতেজ মনই আপনাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

পরীক্ষার আগের শেষ সময়ের কৌশল: চূড়ান্ত প্রস্তুতি

রিভিশন ও মক টেস্টের চূড়ান্ত ধাপ: শেষ সময়ের প্রস্তুতি

পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে, অর্থাৎ শেষ কয়েকটা দিনে কী করবেন, তা নিয়েও অনেকে খুব চিন্তিত থাকেন। এই সময়টা কিন্তু নতুন কিছু শেখার জন্য নয়, বরং যা শিখেছেন তা ঝালিয়ে নেওয়ার এবং নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, শেষ মুহূর্তে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হয়। যা শিখেছেন, তাও গুলিয়ে ফেলার ভয় থাকে। তাই এই সময়টাতে মূল ফোকাস রাখুন রিভিশন আর মক টেস্টের ওপর। আমি শেষ ১৫-২০ দিনে শুধু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র, শর্ট নোটস আর হাইলাইট করা বিষয়গুলো দেখতাম। প্রতিদিন অন্তত একটি করে মক টেস্ট দিতাম এবং তারপর সেগুলোর ভুলগুলো বিশ্লেষণ করতাম। এতে পরীক্ষার পরিবেশের সাথে নিজেকে আরও ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারতাম এবং নিজের দুর্বল জায়গাগুলো শেষ মুহূর্তে আরও একবার ঝালিয়ে নিতে পারতাম। মনে রাখবেন, এই সময়টাতে মানসিক চাপ কমানোটা খুব জরুরি। তাই বেশি টেনশন না করে, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। আপনি এত দিন ধরে যে পরিশ্রম করেছেন, তার ফল নিশ্চয়ই পাবেন। আমি সবসময় ভাবতাম, “আমি আমার সেরাটা দিয়েছি, এখন বাকিটা সৃষ্টিকর্তার হাতে।” এই ইতিবাচক মানসিকতা আমাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করত।

মানসিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানো: আসল লড়াই মনের সাথে

পরীক্ষার আগের দিন বা পরীক্ষার হলে অনেক সময় আমরা ঘাবড়ে যাই। এই ঘাবড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু এই মানসিক চাপ সামলানোটা খুবই জরুরি। পরীক্ষার হলে আপনার মেধার পাশাপাশি আপনার মানসিক দৃঢ়তারও পরীক্ষা হয়। আমি সবসময় পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতাম। বেশি রাত জাগলে পরীক্ষার দিন ক্লান্তি আসতে পারে। আর সকালে উঠে একদম হালকা খাবার খেতাম। পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে আর কোনো বই দেখতাম না। এতে আমার মন শান্ত থাকত। আমার মনে আছে, একবার আমি পরীক্ষার হলে গিয়ে একটা খুব সহজ প্রশ্ন দেখেও ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। পরে বুঝেছিলাম, এটা শুধু আমার মানসিক চাপের কারণে হয়েছিল। তাই পরীক্ষার হলে গিয়ে প্রথমে পুরো প্রশ্নপত্রটা একবার ভালো করে পড়ুন। সহজ প্রশ্নগুলো দিয়ে শুরু করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। কঠিন প্রশ্নে আটকে গেলে সময় নষ্ট না করে পরের প্রশ্নে চলে যান। মনে রাখবেন, সব প্রশ্ন সমাধান করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। যতটা সম্ভব সঠিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করুন। আপনার এতদিনের পরিশ্রম আর প্রস্তুতিই আপনাকে সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, আপনি পারবেন!

প্রস্তুতির ফাঁকে একটুখানি বিরতি: সতেজ থাকার টোটকা

শখের পরিচর্যা ও বিনোদন: মনকে চাঙ্গা রাখার মন্ত্র

পরীক্ষার প্রস্তুতি মানেই যে দিনরাত বই নিয়ে বসে থাকতে হবে, এমনটা কিন্তু একদমই নয়। আমি নিজে দেখেছি, একটানা অনেকক্ষণ পড়াশোনা করলে মন আর মস্তিষ্ক দুটোই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন যা পড়ি, তা আর ঠিকমতো মনে থাকে না। এই সময়টায় একটু বিরতি নেওয়াটা খুব জরুরি। আর এই বিরতিতে কী করবেন?

আপনার পছন্দের কাজ! আমার ক্ষেত্রে যেমন, আমি গান শুনতে খুব ভালোবাসতাম। যখনই একটু ক্লান্ত লাগত বা পড়াশোনায় বিরক্তি আসত, তখনই প্রিয় গানগুলো শুনতাম। এতে আমার মন হালকা হয়ে যেত। কেউ হয়তো সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন, কেউ ছবি আঁকতে, আবার কেউ বাগান করতে। আপনার যে শখ আছে, সেটার পেছনে একটু সময় দিন। এতে আপনার মন সতেজ হবে এবং আপনি নতুন উদ্যমে পড়াশোনায় ফিরতে পারবেন। বিনোদন মানেই যে অনেক সময় নষ্ট করা, তা নয়। ১৫-৩০ মিনিটের ছোট ছোট বিরতি নিতে পারেন, যেখানে আপনি আপনার পছন্দের কাজটি করবেন। এতে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে এবং আপনি আরও ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন। মনে রাখবেন, মনকে সতেজ রাখাটাও আপনার প্রস্তুতিরই একটা অংশ।

Advertisement

পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো: মানসিক সাপোর্টের গুরুত্ব

পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় আমরা অনেকেই নিজেদেরকে অন্যদের থেকে গুটিয়ে ফেলি। ভাবি, এতে বুঝি পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়বে। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে, এটা একদম ঠিক নয়। আমার যখন খুব চাপ লাগত বা হতাশ হয়ে পড়তাম, তখন আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলতাম। আমার মা বা বোনের সাথে একটু গল্প করলে বা চা খেতে খেতে বাবার সাথে পাঁচ মিনিট কথা বললেই আমার মন হালকা হয়ে যেত। বন্ধুদের সাথেও মাঝে মাঝে দেখা করতাম, তবে অবশ্যই পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনো আড্ডা নয়। তাদের সাথে আমার প্রস্তুতির কথা শেয়ার করতাম, তাদের অভিজ্ঞতা শুনতাম। এতে আমার মনে হতো, আমি একা নই, আমার পাশে অনেকেই আছে। এই মানসিক সাপোর্টটা খুবই জরুরি। তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেতাম। তবে অবশ্যই এমন বন্ধুদের সাথে মিশবেন যারা আপনার প্রস্তুতিকে সমর্থন করে এবং আপনাকে ইতিবাচক মনোভাব রাখতে সাহায্য করে। নেতিবাচক বা হতাশাবাদী বন্ধুদের থেকে দূরে থাকুন। মনে রাখবেন, মানুষের সাথে মিশলে মন ভালো থাকে এবং আপনি নতুন করে শক্তি পান। সামাজিক বন্ধন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে, যা আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আমার প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার সাথে এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই মন থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সরকারি চাকরির প্রস্তুতির পথটা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু আপনারা দেখেছেন যে সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য আর আত্মবিশ্বাস থাকলে এই পথটাও অনেকটা সহজ হয়ে যায়। শুধু বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে থাকলে হবে না, স্মার্টলি এগোতে হবে। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন এবং নিয়মিত আমার ব্লগে চোখ রাখুন, কারণ আপনাদের জন্য আরও অনেক উপকারী টিপস নিয়ে আপনাদের এই আপা সবসময় পাশে থাকবে। আপনাদের সবার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা!

আলম দুলে সুলো তথ্য

১. পমোডোরো কৌশল (Pomodoro Technique) ব্যবহার করুন: মনোযোগ ধরে রাখার জন্য ২৫ মিনিট নিবিড় পড়াশোনার পর ৫ মিনিটের বিরতি নিন। এই ছোট বিরতিগুলো আপনার মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে এবং দীর্ঘ সময় ধরে মনোযোগ সহকারে কাজ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যখন কোনো কঠিন বিষয় পড়ছেন বা সমাধান করছেন, তখন এই কৌশলটি অসাধারণ কাজ দেয়। কিছুক্ষণের জন্য অন্য কোনো কাজ করে আবার নতুন উদ্যমে ফেরা যায়, এতে আপনার কাজের মানও ভালো থাকে এবং পড়াশোনা একঘেয়ে মনে হয় না।

২. কঠিন বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিন: দিনের প্রথম ভাগে, যখন আপনার মন সবচেয়ে সতেজ এবং কর্মঠ থাকে, তখন সবচেয়ে কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে বসুন। এতে মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ কার্যক্ষমতা ব্যবহার করে জটিল বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করা সম্ভব হয়। দিনের শেষে যখন আপনি কিছুটা ক্লান্ত থাকবেন, তখন সহজ বিষয়গুলো পড়া বা পুনর্বিবেচনা করা বেশি কার্যকর হবে। এই কৌশল আপনাকে কঠিন বিষয়গুলোর ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে এবং ধীরে ধীরে সেগুলোর ওপর আপনার দখল বাড়িয়ে দেবে, যা পরীক্ষার আগে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

৩. নমনীয় রুটিন তৈরি করুন: একটি বাস্তবসম্মত এবং নমনীয় রুটিন তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। আপনার রুটিনে বিশ্রাম, ব্যক্তিগত কাজ এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য কিছু ফাঁকা সময় রাখুন। হঠাৎ অসুস্থতা বা জরুরি পারিবারিক কাজের কারণে রুটিন ভেঙে গেলেও হতাশ হবেন না, বরং পরের দিন থেকে আবার নতুন উদ্যমে শুরু করুন। নমনীয়তা আপনাকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেবে এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে, কারণ জীবন সবসময় আপনার পরিকল্পনামতো চলবে না।

৪. নিয়মিত মক টেস্ট ও বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করুন: শুধুমাত্র পড়াশোনা করলেই হবে না, নিয়মিত মক টেস্ট দিয়ে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করা এবং সময় ব্যবস্থাপনার অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মক টেস্টের পর আপনার ভুলগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখুন, কোন ধরনের প্রশ্নে আপনি দুর্বল, সেগুলো চিহ্নিত করুন এবং সেই অংশগুলো আরও ভালোভাবে অনুশীলন করুন। বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করলে পরীক্ষার প্যাটার্ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় এবং কোন বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়।

৫. শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন: পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি। সুস্থ শরীর ও সতেজ মনই আপনাকে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স দিতে সাহায্য করবে। মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন, পছন্দের কাজ করা বা বন্ধুদের সাথে হালকা আড্ডা দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ এবং এর যত্ন নেওয়াটা প্রস্তুতিরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা আপনার সাফল্যের পথকে মসৃণ করবে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সারসংক্ষেপ

পরীক্ষার প্রস্তুতির এই দীর্ঘ যাত্রায় আমরা অনেক কিছু শিখেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, শুধু কঠোর পরিশ্রম নয়, বরং স্মার্ট পরিশ্রমের মাধ্যমেও সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। নিজের সক্ষমতা বুঝে বাস্তবসম্মত একটি রুটিন তৈরি করুন এবং সেই রুটিনে নিজের শরীর ও মনের সুস্থতার দিকে বিশেষ নজর দিন। পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়াম আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ডিজিটাল টুলস যেমন ChatGPT বা বিভিন্ন অনলাইন রিসোর্সকে আপনার পড়াশোনার সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করুন, কিন্তু কখনোই তাদের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হবেন না। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে প্রশ্রয় দেবেন না। নিয়মিত পুনর্বিবেচনা, মক টেস্ট এবং বিগত বছরের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে আপনার দুর্বলতাগুলোকে চিহ্নিত করুন এবং সেগুলোকে শক্তিতে পরিণত করুন। মনে রাখবেন, যেকোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য আপনার রুটিনে নমনীয়তা থাকা আবশ্যক। আপনার স্বপ্ন পূরণে অবিচল থাকুন এবং প্রতিটি ছোট অর্জনকে উদযাপন করুন। আপনাদের এই আপা সবসময় আপনাদের পাশে আছে, আরও নতুন নতুন টিপস নিয়ে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: প্রস্তুতি শুরু করার সময়, একটা কার্যকর রুটিন বানানোই তো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, তাই না? কোন বিষয়টাকে কতটুকু সময় দেবো, কিভাবে একটা বাস্তবসম্মত রুটিন তৈরি করব, এটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। আপনার কি কোনো বিশেষ টিপস আছে?

উ: আরে, একদম ঠিক ধরেছেন! আমার মনে আছে, যখন প্রথম প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম, তখন এই রুটিন নিয়েই আমার রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। কোনটা ছেড়ে কোনটা পড়ব, সেটাই বুঝতে পারতাম না। কিন্তু জানেন তো, সময়ের সাথে সাথে আমি একটা জিনিস বুঝেছি – সবার জন্য এক রুটিন কাজ করে না। আপনার নিজের শক্তি আর দুর্বলতা বুঝে রুটিন তৈরি করতে হবে। ধরুন, গণিতে আপনি একটু দুর্বল, তাহলে সকালে বা দিনের যে সময়টায় আপনার মন সতেজ থাকে, সেই সময়টা গণিতের জন্য রাখুন। আর যদি বাংলা বা ইংরেজির মতো বিষয়গুলো আপনার পছন্দের হয়, তাহলে সেগুলোর জন্য একটু কম সময় দিলেও চলবে, কিন্তু নিয়মিত চর্চাটা জরুরি।আমি নিজে ব্যবহার করে দেখেছি, একটা ‘ব্লক শিডিউল’ দারুণ কাজ দেয়। মানে, ২-৩ ঘণ্টার একটা করে স্লট তৈরি করুন। প্রথম স্লটে কঠিন একটা বিষয়, দ্বিতীয় স্লটে তুলনামূলক সহজ কিছু, আর তৃতীয় স্লটে আবার অন্য একটা বিষয়। এর মাঝে ছোট ছোট ব্রেক নিতে ভুলবেন না যেন!
১০-১৫ মিনিটের এই ব্রেকগুলো আপনার মস্তিষ্ককে রিফ্রেশ করবে। আর হ্যাঁ, শুধু পড়াশোনা নয়, নিজের জন্য একটু সময় বের করাও খুব জরুরি। যেমন, রাতে ঘুমানোর আগে পরের দিনের টার্গেটগুলো লিখে ফেলুন। এতে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকবে এবং আপনি অনেক বেশি গোছানো থাকবেন। আমার মনে হয়েছে, রুটিন শুধু কাগজে-কলমে থাকলে হবে না, সেটার সাথে একটা মানসিক বোঝাপড়া থাকা চাই। প্রতিদিন অল্প অল্প করে এগোলেও দেখবেন, মাস শেষে আপনার প্রস্তুতিটা কতটা এগিয়ে গেছে!
এটা শুধু একটা রুটিন নয়, এটা আপনার সফলতার রোডম্যাপ!

প্র: এত লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিতে গেলে মাঝে মাঝে মন ভেঙে যায়, পড়াশোনার ইচ্ছাটাই চলে যায়। এই সময়টায় নিজেকে কিভাবে চাঙ্গা রাখব, পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখব? এই ‘বার্নআউট’ থেকে বাঁচার কোনো উপায় আছে কি?

উ: ওহ্ মাই গড! এই প্রশ্নটা শুনে আমার নিজের পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। বিশ্বাস করুন, এই অনুভূতিটা আমারও হয়েছিল। মাঝে মাঝে তো মনে হতো, “আর পারবো না!” কিন্তু দেখুন, এটা খুবই স্বাভাবিক। আমরা তো মানুষ, মেশিন নই!
দিনের পর দিন একই রুটিন মেনে চলতে গেলে একঘেয়েমি আসবেই। এই সময়টায় নিজেকে সামলে রাখাটাই আসল চ্যালেঞ্জ।আমি যেটা করতাম, যখনই মন খারাপ লাগত বা পড়তে ইচ্ছা করতো না, তখন কিছুক্ষণ বইপত্র থেকে একদম দূরে চলে যেতাম। হয়তো প্রিয় কোনো গান শুনতাম, বা ছাদে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। এমনকি, আমার বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে একটু কথা বলতাম, যারা আমার মতোই প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এতে জানতেন তো, একটা দারুণ কাজ হতো – দেখতাম, শুধু আমি একা নই, অনেকেই এই লড়াইটা লড়ছে। এটা এক ধরনের মানসিক শক্তি দিত।সবচেয়ে বড় কথা, মাঝে মাঝে নিজেকে ছোট ছোট পুরস্কার দিন। যেমন, একটা নির্দিষ্ট চ্যাপ্টার শেষ করার পর নিজেকে একটা পছন্দের মুভি দেখার সুযোগ দিন, বা পছন্দের কোনো খাবার খান। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো – আপনার ফাইনাল লক্ষ্যটা কখনোই ভুলবেন না। যখনই মন ভেঙে যাবে, একবার চোখ বন্ধ করে ভাবুন, চাকরিটা পেয়ে গেলে আপনার জীবনটা কেমন হবে!
সেই স্বপ্নটাই কিন্তু আপনাকে আবার নতুন করে শক্তি দেবে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা বলে, এই ছোট ছোট ব্রেক আর মানসিক টনিকগুলোই দীর্ঘস্থায়ী প্রস্তুতির জন্য খুব জরুরি। মনে রাখবেন, ধৈর্য আর বিশ্বাস, এই দুটোই আপনার সেরা বন্ধু এই পথে!

প্র: পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে বা পরীক্ষার হলে সময়টা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করব? অনেক সময় দেখা যায়, সব জানা সত্ত্বেও সময়ের অভাবে অনেক প্রশ্ন ছেড়ে আসতে হয়। এর জন্য কোনো বিশেষ কৌশল আছে কি?

উ: একদম ঠিক প্রশ্ন করেছেন! আমার মনে হয়, এই সমস্যাটা নিয়ে সবাই কমবেশি ভুগেছে। পরীক্ষার হলে গিয়ে ঘড়ির কাঁটার সাথে পাল্লা দেওয়াটা এক বিশাল চাপ। সব জানা সত্ত্বেও সময়ের অভাবে উত্তর দিতে না পারাটা যে কতটা হতাশাজনক, সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি।এর জন্য আমার কিছু পরীক্ষিত কৌশল আছে, যা আমি নিজে ব্যবহার করে দারুণ ফল পেয়েছিলাম। প্রথমত, পরীক্ষার আগে মক টেস্টগুলো খুব গুরুত্ব দিয়ে দিন। মক টেস্ট মানে শুধু প্রশ্ন সলভ করা নয়, বরং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিভাবে সবগুলো প্রশ্নকে ট্যাকল করবেন, তার একটা মহড়া দেওয়া। আমি যখন মক টেস্ট দিতাম, তখন প্রতিটি প্রশ্নের জন্য কতটুকু সময় নেওয়া উচিত, সেটা নিয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি করতাম। যেমন, গণিতের জন্য তুলনামূলক বেশি সময়, আর সাধারণ জ্ঞানের জন্য কম।পরীক্ষার হলে ঢোকার পর, প্রথম ১০-১৫ সেকেন্ডের মধ্যে পুরো প্রশ্নপত্রটা একবার চোখ বুলিয়ে নিন। এতে আপনার একটা ধারণা হয়ে যাবে যে কোন প্রশ্নগুলো আপনার কাছে সহজ মনে হচ্ছে আর কোনগুলো কঠিন। প্রথমে সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং আপনি দ্রুত মার্কস তুলে নিতে পারবেন। আর যে প্রশ্নগুলো কঠিন মনে হচ্ছে, সেগুলোতে বেশি সময় নষ্ট না করে, সেগুলো চিহ্নিত করে রাখুন এবং সহজগুলো শেষ করে তারপর সেগুলোতে মনোযোগ দিন।আরেকটা জরুরি টিপস হলো, কোনো একটা প্রশ্নে আটকে গেলে সেখানেই সময় নষ্ট করবেন না। আমি দেখেছি, অনেকে একটা কঠিন প্রশ্ন নিয়ে এত সময় ব্যয় করে ফেলে যে, শেষে সহজ অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়ই পায় না। এমন পরিস্থিতিতে ওই প্রশ্নটা ছেড়ে পরবর্তী প্রশ্নে চলে যান। যদি সময় থাকে, পরে আবার ফিরে আসবেন। মনে রাখবেন, প্রতিটি প্রশ্নের জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করুন এবং ঘড়িটা সবসময় খেয়াল রাখুন। পরীক্ষার হলে ঠান্ডা মাথায় এই কৌশলগুলো মেনে চললে দেখবেন, সময়ের অভাবে আর কোনো প্রশ্ন ছেড়ে আসতে হচ্ছে না!
আমার অভিজ্ঞতা বলে, এই ছোট ছোট কৌশলগুলোই আপনাকে অন্যদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে।

📚 তথ্যসূত্র

Advertisement